বিশেষ প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা)
দীর্ঘ সাত বছর পর বিশেষ অভিযানে আশুলিয়া থেকে র্যাব-৪ এর কাছে আটক হল এক পেশাদার খুনি। সাত বছর পূর্বে গলাকাটা একটি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ক্লুলেস মামলার তদন্ত করতে গিয়ে আটক হয় এই আসামি।
৭ আগষ্ট (রোববার) দুপুরে র্যাব-৪ সি,পি,সি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কম্যান্ডের রাকিব মাহমুদ খান, গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকার চাঞ্চল্যকর সাইদুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামী পেশাদার খুনিকে আটক করার বিষয়টি, প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেন।
এর আগে ০৬ অগাস্ট ২০২২ রাতে র্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০৭ বছর ধরে পলাতক নান্নু শেখ@নূরনবী (৩৭) কে আটক করে। তার দেশের বাড়ি মাগুরা জেলায়।
গত ১৮/১২/২০১৫ তারিখ সকাল ৯.০০ ঘটিকার সময় গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানাধীন দেওয়ানবাড়ীর ছায়াতল মার্কেটের পাশে ধানের জমিতে একটি গলাকাটা অজ্ঞাতনামা লাশ পাওয়া যায়। স্থানীয় জনতা, স্থানীয় থানা-পুলিশ ও পরিবারের লোকজনের সহায়তায় জানা যায় অজ্ঞাতনামা লাশটি মোঃ সাইদুল ইসলাম (৩৮) এর।
র্যাবের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে নিহত সাইদুল ইসলামের সাথে খুনি নান্নু শেখ জয়দেবপুর থানাধীন কোনাবাড়ি এলাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরী করতো।
গ্রেফতারকৃত আসামী নান্নু শেখ নিহত সাইদুল ইসলামের কাছ থেকে স্টাম্পের মাধ্যমে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার নেয়। ধারের টাকা ফেরত চাইলে, খুনি ১৭/১২/১৫ তারিখ রাত ৮.০০ টায় পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় সাইদুল ইসলামকে। পাওনা টাকা পরিশোধ না করে রাতের অন্ধকারে ধানক্ষেতে নির্মমভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায় খুনি।
এ ঘটনায় গাজীপুর জয়দেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয় যার নম্বর ৯৩(১২)২০১৫; ধারা ৩০২/৩৪ দন্ডবিধি।
র্যাব-৪ সি,পি,সি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কম্যান্ডের রাকিব মাহমুদ খান বলেন, আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, সে উক্ত ঘটনা ছাড়াও আরো বেশ কিছু হত্যাকান্ড, ডাকাতি, জমি দখল এর মতো ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত।